মুক্তির পথে এস এ এন্টারটেইন প্রোডাকশনের স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র কুমোরটুলির গল্প


হীরক মুখোপাধ্যায় 

কলকাতা (১৭ অক্টোবর '২৫):- গতকাল সন্ধ্যায় কলকাতার একঝাঁক সাংবাদিকের সামনে প্রদর্শিত হল 'এস এ এন্টারটেইন প্রোডাকশন' নিবেদিত, মিত্রাণী বিশ্বাস প্রযোজিত ও সমীর সমু নির্দেশিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র 'কুমোরটুলির গল্প'। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমে পরিলক্ষিত হবে এই তথ্যচিত্র।

তথ্যচিত্র প্রদর্শনের প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে এই তথ্যচিত্রের নির্দেশক সমীর সমু জানান, "নদিয়ার রাজা কংসনারায়ণ ১৬০০ শতকের শেষের দিকে তাহেরপুরে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন, পরবর্তী সময়ে ১৭৫৭ সালে শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজা নবকৃষ্ণ দেব কৃষ্ণনগর থেকে কুমোর আনিয়ে কলকাতার বুকে প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। সেই সময় বাংলার মৃতশিল্পীরা সিংহের চেহারা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকায় সিংহ মূর্তিকে ঘোড়ার আদলে তৈরি করতেন, পরবর্তীতে কলকাতা পশুশালায় সিংহ আনা হলে প্রতিমার বাহনের আকারে পরিবর্তন আসে।"

প্রযোজনা সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, "দীর্ঘদিন ধরে ডঃ রত্না গুপ্তা এবং ডঃ বিপ্লব নন্দী এই তথ্যচিত্রের বিষয় নিয়ে গবেষণা করার পরেই এই তথ্যচিত্র নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছিল।"

সমগ্র তথ্যচিত্রেই কখনো ক্যামেরার সামনে থেকে কখনো নেপথ্যে থেকে কথক ঠাকুরের মতো শব্দ মূর্ছনায় দর্শকদের বিভোর করেছেন কলকাতার অন্যতম স্বনামধন্য স্ত্রী ও প্রসূতি রোগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জয়ন্তকুমার গুপ্ত। 

সামাজিক মাধ্যমের অলিন্দে ঘোরাফেরার প্রবণতা থাকলে যে কেউই 'কুমোরটুলির গল্প' নামে বেশ কিছু রিল, স্টোরী বা স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের সন্ধান পেতেই পারেন, সেই হিসেবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রে নামের কিছু নতুনত্ব বা মুন্সিয়ানা না থাকলেও আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো চমক আছে কিনা সেটা দেখা বা বোঝার জন্য যে কেউ স্বচক্ষে এই তথ্যচিত্র একবার দেখতেই পারেন।


Comments