কলকাতা (৩ অক্টোবর '২৫):- গতকাল সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার অধীন মাড়গ্রাম থানার চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত বাগদি (২৪) [Hemanta Bagdi 24]-র মুখে জোর করে নিষিদ্ধ বাজি পুরে অগ্নি সংযোগ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন মাড়গ্রাম থানার অন্যতম সিভিক ভলান্টিয়ার সুমন মার্জিত (Suman Marjit, Civic Volunteer, Margram Police Station)।
যদিও সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, "ওটা নিষিদ্ধ নয় সাধারণ শব্দ বাজি ছিল।"
মাড়গ্রাম থানা যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুক না কেন, স্থানীয় অধিবাসীদের বক্তব্য, "সাধারণ নয় ওটা নিষিদ্ধ শব্দ বাজি ছিল।"
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জন দেখার জন্য বাড়ি থেকে বিসর্জন স্থলের দিকে সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন হেমন্ত বাগদি। বিসর্জন ঘাটের অনতিদূরে সুমন মার্জিত নামের স্থানীয় এক সিভিক ভলান্টিয়ার বাগদি দম্পতির সামনে এসে জোর করে হেমন্ত বাগদির মুখে একটা নিষিদ্ধ শব্দ বাজি ঠুসে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। আগুন লাগার সাথে সাথেই ফেটে যায় বাজি।"
রামপুরহাটের মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক-এর কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আহত অবস্থায় হেমন্ত বাগদি কে প্রথমে 'রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল'-এ নিয়ে যাওয়া হয় পরে ওখান থেকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে।"
পুলিস আর স্থানীয়দের কথার মাঝে আহত হেমন্ত বাগদি-র স্ত্রী শুক্লা বাগদি জানিয়েছেন, "আমাদের সাথে ওই 'সিভিক ভলান্টিয়ার'-এর কোনো শত্রুতা ছিল না, আমি পুরোপুরি হতভম্ব, আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।"
মাড়গ্রাম থানা যাই বলুক না কেন, বীরভূম জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের মতে, "বাজি নিষিদ্ধ ছিল না সাধারণ ছিল ওটা কোনো কথাই হতে পারেনা। কথা হল, একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কখনোই এইসব অপরাধ করতে পারেন না।"

Comments
Post a Comment