হীরক মুখোপাধ্যায়
কোলকাতা (১৭ সেপ্টেম্বর '২৪):- 'রয়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমী অব সায়েন্সেস' (Royal Swedish Academy of Sciences) সংক্ষেপে 'নোবেল কমিটি' (Nobel Committee)-র ওয়েবসাইটে দেওয়া ভুল তথ্য (Wrong information) সম্পর্কিত বিষয় এবার জনসাধারণের সামনে তুলে ধরলেন আমেরিকার আবার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটোনিক ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরির নির্দেশক মৃণাল ঠাকুর (Prof. Mrinal Thakur, Director, Photonics Materials Research Laboratory, Auburn University)।গত ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনকে সম্বোধিত করার সময় তিনি এই তথ্য প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরিবাহী পলিমারের উপর নোবেল পুরষ্কার সম্পর্কে, ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয়েছে, "পরিবাহী পলিমারের মূল বৈশিষ্ট্য হল পলিমারের মেরুদণ্ডের সাথে সংযুক্ত দ্বিগুণ বন্ধনের উপস্থিতি। সংযোজনে, কার্বন পরমাণুর মধ্যে বন্ধনগুলি পর্যায়ক্রমে একক এবং দ্বিগুণ হয়।"
অধ্যাপক মৃণাল ঠাকুর দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, "১৯৮৮ সালেই যেখানে পলিমার ভিত্তিক একটা বিশেষ গবেষণা জনগণকে সামনে এসে গেছে, সেখানে 'রয়াল সুইডিশ অ্যাকাডেমী অব সায়েন্সেস' তাদের ওয়েবসাইটে ভুল তথ্য তুলে ধরেছে।"
বলে রাখা ভালো, দীর্ঘদিন ধরে পলিমার (Polymer)-এর উপর গবেষণা চালাচ্ছেন বাঙালী গবেষক মৃণাল ঠাকুর।
গবেষক মৃণাল ঠাকুরের বক্তব্য " 'নোবেল কমিটি'-র ওয়েবসাইটে ঘোষিত ভুল তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গবেষণা বারবার কৃতিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বহু নোবেল বিজয়ী বৈজ্ঞানিকগণ এই বিষয়ে একমত হলেও ওয়েবসাইটে তুলে ধরা ভুল তথ্যের কারণে তাঁরাও অসহায় হয়ে পড়ছেন।"
অধ্যাপক ঠাকুর-এর গবেষণা পত্র ২৩ বার রসায়নে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
ঠাকুরের সমীকরণ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে কারণ লেজার পালস তীব্রতার উপর নির্ভর করে সুপার-রেজোলিউশনের পরিমাণগত পরিমাপ প্রদান করে ননলাইনার অপটিক্সের উপর তার বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে।
Comments
Post a Comment