বিশ্ব অঙ্গদান দিবসে নারায়ণা হাসপাতালের চিকিৎসকমহলের বার্তা


হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (১৩ অগস্ট '২৪):- চিকিৎসা শাস্ত্র অধ্যয়ণরত ছাত্রছাত্রীদের হাতেকলমে জ্ঞানার্জনের সুবিধা, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন তথা মরানাপন্ন জনগণের প্রাণদানের লক্ষ্য সহ বিশ্বের সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং 'মরণোত্তর দেহদান'-এ উদ্বুদ্ধকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১৩ অগস্ট 'বিশ্ব অঙ্গদান দিবস' (World Organ Donation Day) রূপে পালিত হয়।

এই বছরের 'বিশ্ব অঙ্গদান দিবস'-এর প্রেক্ষাপটে নারায়ণা হাসপাতালের তরফ থেকে জারি করা এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাওড়া নারায়ণা হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তনিমা দাস ভট্টাচার্য (Dr. Tanima Das Bhattacharyay, Department of Nephrology, Narayana Haospital, Howrah) জানিয়েছেন, " জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী যতগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম 'অঙ্গদান'।
আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে 'অঙ্গদান' কোনো নিছক দান বা সহানুভূতি নয় এটা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। কোনো একজনের মরণোত্তর দেহদান থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৮ জন মৃতপ্রায় ব্যক্তি পুনর্জীবন পেতে পারেন।"

ডাঃ তনিমা দাস ভট্টাচার্য-র সাথে সঙ্গতি রেখে নারায়ণা হাসপাতাল গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন আর এন টেগোর হসপিটাল-এর প্রাপ্তবয়স্কদের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অয়ন কর (Dr. Ayan Kar, Department of Cardiology (Adults), R. N.Tegore Hospital, Kolkata) বলেছেন, "মৃত্যুর পর আত্মজ সন্তান সন্ততির বাইরেও নিজের দেহজাত উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া অমরত্বের থেকে কোন অংশে কম নয়।
'মরণোত্তর দেহদান' যেমন একজন ব্যক্তিকে অমরত্ব দিতে পারে তেমনই মৃতপ্রায় কোনো ব্যক্তি বা কয়েকজনকে নতুন করে প্রাণদানও করতে পারে।"

আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে মানব শরীরের প্রয়োজনীয় রক্তও যেমন শরীরের বাইরে তৈরি করা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই চক্ষু, হৃদপিণ্ড, যকৃত, ফুসফুস, পাকস্থলী, বৃক্কর মতো অঙ্গও কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা যায় না, সুতরাং 'মরণোত্তর দেহদান'ই হল অঙ্গদানের একমাত্র স্বাভাবিক পদ্ধতি। মানব সমাজ ও চিকিৎসা শাস্ত্রের শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াকে উৎসাহদানই সমাজের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।






Comments