সুনিবীড় মৎস্য চাষের দিকে এগোচ্ছে তপশিল জাতী আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র


হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (৫ জুলাই '২৪):- কেন্দ্রীয় সরকারের উপজাতী বিষয়ক মন্ত্রক (Ministry of Tribal Affairs, Government of India) থেকে অনুমোদন লাভের পর সুনিবীড় মৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিসম্পদের চাষের দিকে এগোচ্ছে 'তপশিল জাতী আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র'।

আজ কোলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে সংস্থার সম্পাদক সোমেন কোলে (Somen Kole, Secretary, Tapsil Jati Adibasi Praktan Sainik Krishi Bikash Shilpa Kendra) জানিয়েছেন, "একদিকে আমরা যখন আমাদের ১০ হাজার সদস্য ও সদস্যাদের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিসম্পদ চাষ শুরু করেছি, ঠিক তখন আমাদের ১৭ জন সদস্য ও সদস্যা কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে মৎস্য ও অন্যান্য প্রাণিসম্পদ চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণও নিয়ে এসেছে। আশা করছি এই প্রশিক্ষিত সদস্য-সদস্যাদের পূর্ণ সহায়তা নিয়ে আমরা আগামী দিনে চিংড়ি, কাঁকড়া, শিঙি ও হাঁস প্রতিপালনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারব।"

'বিকশিত ভারত'-কে সামনে রেখে এগিয়ে চলা এই সংস্থার প্রাথমিক মূল লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মানোন্নয়ন। আর ঠিক কারণেই সংগঠনের প্রাথমিক লক্ষ্য রাসয়নিক সার মুক্ত জৈব চাষের মাধ্যমে এলাকার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি।
সংগঠনের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় একদিকে যেমন রয়েছে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর থেকে কাঁকড়া ও চিংড়ির মীন সংগ্রহ করে তাদের আয় বাড়ানো, তেমনই সেই মীনের প্রতিপালন ও পরিচর্যা করে সমাজের খাদ্যের যোগান সৃষ্টির সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ এবং চাষীদের সহায়তা প্রদান।
সংগঠনের বক্তব্য অনুযায়ী, "সংগঠন একদিকে সম্পূর্ণ জৈবিকভাবে যেমন মৎস্য চাষের প্রোৎসাহন দেবে তেমনই কাঁকড়ার খোলা, ডিমের খোসা চূর্ণ করেও জৈবসার তৈরীর পাশাপাশি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হাঁসের ডিমের অ্যালবুমিন ও গ্লোবিউলিন পৃথক করে সেটাকে যন্ত্রের মাধ্যমে শুকিয়ে ও গুঁড়ো করে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে বিক্রি করার প্রচেষ্টাও করবে।"

সাংবাদিক সম্মেলনে সম্পাদক সোমেন কোলে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বরিষ্ঠ নেতৃত্ব তথা কার্যকর্তা বিকাশকুমার মণ্ডল, হীরক চ্যাটার্জি, মৃদুল তরফদার, বিপ্লব রায় ও শুভঙ্কর বিশ্বাস।

Comments