হীরক মুখোপাধ্যায়
কোলকাতা (২৮ জুন '২৪):- একযোগে 'জাতীয় স্কোলিওসিস সচেতনতা মাস' (National Scoliosis Awareness Month) উদযাপন করল বিধাননগরের 'এইচ পি ঘোষ হসপিটাল' (H P Ghosh Hospital, Bidhannagar) এবং 'স্পাইন রিসার্চ ফাউণ্ডেশন' (Spine Research Foundation)।অতি সংক্ষেপে বলে রাখা ভালো, মেরুদণ্ডের বক্রতাজনিত রোগকেই 'স্কোলিওসিস' রূপে আখ্যায়িত করা হয়।
এখনো পর্যন্ত 'ইডিওপ্যাথিক স্কোলিওসিস' (Idiopathic Scoliosis), 'ডিজেনারেটিভ স্কোলিওসিস' (Degenerative Scoliosis), 'নিউরোমাসকুলার স্কোলিওসিস (Neuromascular Scoliosis), 'কনজেনিটাল স্কোলিওসিস' (Congenital Scoliosis)-এর মতো কয়েক প্রকারের 'স্কোলিওসিস'-কে সনাক্ত এবং চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বের গবেষক সমাজ এবং চিকিৎসক মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, একেবারেই সদ্যজাত শিশু থেকে কিশোর-কিশোরী হয়ে যৌবনউদ্গম নাবালক-নাবালিকা বা ১৮ উর্ধ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এই রোগ পরিলক্ষিত হয়। রোগের তীব্রতা অনুসারে শিরদাঁড়া ১৫ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেঁকে যেতেও দেখা গেছে।
একেবারে সদ্যজাত বা শৈশবাবস্থার শুরুরদিকে এই রোগকে সনাক্ত করা গেলে শল্যচিকিৎসা ব্যতিরেকে এর চিকিৎসা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে শল্যচিকিৎসা ছাড়া উপাচার সম্ভব নয়।
আজ বিধাননগরের 'এইচ পি ঘোষ হসপিটাল'-এ আয়োজিত স্কোলিওসিস সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ডাঃ সৌম্যজিৎ বসু, ডাঃ অমিতাভ বিশ্বাস, ডাঃ ত্রিঞ্জন সারঙ্গী-র মতো ব্যক্তিগণ।
সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠানের প্রতিটা পর্যায়ে স্কোলিওসিস রোগ সম্পর্কে জনসমাজকে সচেতন করেন দুই সংস্থার সাথে জড়িত চিকিৎসকগণ।
Comments
Post a Comment