অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে বিজেপি : অমিত শাহ


এম রাজশেখর

বিহার (২২ এপ্রিল '২৪):-"অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করার হিম্মত দেখিয়েছে শুধুমাত্র বিজেপি," বলে এক নির্বাচনী জনসভায় উল্লেখ করেছেন 'ভারতীয় জনতা পার্টি'-র অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা তথা দেশের বিদায়ী স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতায় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah, MIC, Department of Home Affairs & Co-operation, Government of India)।

বিহারের কাটিহারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, "ভারতীয় জনতা পার্টি হচ্ছে সেই রাজনৈতিক দল যারা দেশের এক অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ভেতর থেকে নরেন্দ্র মোদী-কে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনীত করেছে। শুধু তাই নয়, এই রাজনৈতিক দল মোদীর নেতৃত্বে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের অন্তর্গত একাধিক সাংসদকে মন্ত্রীত্বও প্রদান করেছে।"

অনগ্রসর সম্প্রদায়ের কল্যাণের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, "মোদীজি তাঁর মন্ত্রীসভার ৩৫ শতাংশ মন্ত্রীকেই দেশের অনগ্রসর এবং অত্যন্ত পশ্চাৎপদ জাতিগোষ্ঠী থেকে নিযুক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, মোদি ওবিসি কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার জন্য কাজ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পরিষেবাতে ওবিসি সম্প্রদায়কে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস দল, যারা বছরের পর বছর ধরে ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি)-র প্রতি অবিচার করেছে। ওরাই কাকা কালেলকর কমিশন এবং মণ্ডল কমিশনের রিপোর্ট দমন করেছিল।"

নির্বাচনী প্রচারে এসে অমিত শাহ কংগ্রেস ও লালু যাদবের দলকে কটাক্ষ করে বলেন, "এটা সর্বজনবিদিত যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদী দেশে স্বজনপ্রীতি, জাতপাত এবং তুষ্টির বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আঘাত করেছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস দল এবং তার সহযোগী লালু যাদব 'গরিব হটাও' স্লোগান দিচ্ছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও দারিদ্র্য বিমোচন করা যায়নি। যেখানে, গত ১০ বছরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে প্রতি মাসে পাঁচ কেজি করে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করার জন্য কাজ করেছে।
মোদি সরকার টয়লেট এবং উজ্জ্বলা প্রকল্পের মতো প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছে এবং অন্যদিকে, এটি যুবকদের পড়াশোনা করার জন্য আরও ভাল পরিবেশ তৈরি করেছে। মোদি সরকার গরিবদের জীবনে যে পরিবর্তন এনেছে তা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।"

লালু যাদব ও তাঁর রাজনৈতিক দলকে খোঁটা দিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, "আই এন ডি আই জোট এবং লালু যাদব বিহারকে লণ্ঠন যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। সেই একই বিহার যেখানে প্রতিদিন দাঙ্গা, হিংসা, দুর্নীতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল সাধারণ। একজন সাধারণ মানুষের কথা তো ছেড়েই দিন, এমনকি একজন ব্যবসায়ীকেও দিবালোকে ছিনতাই করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
সিদ্ধান্ত আপনাদের।
লালুর 'লণ্ঠন' চিহ্নকে সমর্থন জানালে ভবিষ্যতে আবার হয়তো বিহারে ফিরতে পারে দাঙ্গা, অত্যাচার, অবিচার, দারিদ্র, অনাহার।
কিন্তু আপনারা যদি 'ভারতীয় জনতা পার্টি' এবং 'জেডিইউ'-এর সঙ্গে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে এই বিহারকেই শান্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নের মূল স্রোতে বয়ে চলতে দেখতে পাবেন।"


Comments