মোদীজীর নেতৃত্বে ভারত ভঙ্গুর পাঁচ থেকে শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতিতে উঠে এসেছে : অমিত শাহ


এম রাজশেখর 

নয়াদিল্লি (৯ মার্চ '২৪):- "মোদীজীর নেতৃত্বে ভারত ভঙ্গুর পাঁচ থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতিতে উঠে এসেছে," বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতায় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah, MiC Department of Home Affairs & Co-operation, Government of India)।
গত ৬ মার্চ বুধবার মুম্বাইতে 'ইণ্ডিয়া গ্লোবাল ফোরাম'-এর বার্ষিক বিনিয়োগ সামিট - 'এন এক্স টি ১০' (NXT 10-)এ ভাষণ দিতে গিয়ে অমিত শাহ একথা বলেন।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব শাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন," মোদিজীর নেতৃত্বে ভারত আজ ভঙ্গুর পাঁচ থেকে শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতিতে উঠে এসেছে। ভারতের প্রতিটি নাগরিক জানেন যে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত, যখন কেন্দ্রে মনমোহন সরকার ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশের অর্থনীতি বিশ্বে ১১ তম অবস্থানে ছিল।
গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের অর্থনীতিকে ৫ তম অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছে। আমরা আশাবাদী যে মোদীজী তার তৃতীয় মেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে যেতে সফল হবেন।
১০ বছর আগে ২০১৪ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ ছিল, বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে গিয়েছিল, কিন্তু আজ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, এবং ভারতের আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভরশীলতাও বেড়েছে।
বর্তমানে বিশ্ব জানে যে দূরদর্শী মোদীর নেতৃত্বে এবং অমিত শাহের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকার 'নিষ্ক্রিয়' থেকে 'গতিশীল'-এ রূপান্তরিত হয়েছে, ভারতের অগ্রগতি হয়েছে। 'রিগ্রেসিভ' থেকে 'প্রগতিশীল'-এ স্থানান্তরিত হয়েছে এবং অর্থনীতি 'ভঙ্গুর' থেকে 'শীর্ষে' পরিবর্তিত হয়েছে। ভারত এখন ভঙ্গুর পাঁচ থেকে শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতিতে পৌঁছেছে। নতুন ভারত বিশ্ব মানচিত্রে ‘ডার্ক স্পট’ থেকে ‘সাইনিং স্পট’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

শেষ ১০ বছরের সরকার ৫০ টিরও বেশি রূপান্তরমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে নোটবন্দীকরণ, জিএসটি, জন ধন, তিন তালাক, নতুন শিক্ষা নীতি, সিএএ, ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদ, নারী শক্তি বন্দন অধিকার, তিনটি নতুন আইন, রাম মন্দির নির্মাণ, নির্মাণ।
নতুন সংসদ ভবন, কর্তারপুর করিডোর নির্মাণ, উত্তর-পূর্ব, কাশ্মীর ও বামপন্থী উগ্রবাদ নিয়ন্ত্রণ, গৃহস্থালির বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জল, ₹৫ লক্ষ পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা, কৃষকদের অর্থনৈতিক সাহায্য, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিমান হামলা, এবং আরও অনেক সিদ্ধান্ত যা ভারতকে বিশ্বে একটি নতুন পরিচয় দিয়েছে।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে। মোদি সরকারের কৃতিত্বের সাথে ভারতের রাজনীতির চাণক্য আবারও রণক্ষেত্রে নেমেছে নির্বাচনী যুদ্ধে বিরোধীদের নির্ধারক পরাজয় দিতে। গত ১০ বছরের অর্জনের ভিত্তিতে দেশের মানুষ আবারও নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।"

লোকসভা নির্বাচনও ঘনিয়ে আসছে, বিরোধী শিবিরকে পর্যুদস্ত করতে আবার নির্বাচনী ময়দানে নামতে চলেছে 'ভারতীয় জনতা পার্টি'।
একথা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে আজ দেশের বিরোধী দলগুলিও জানে, "শাহ যখন মাঠে নামেন, তখন অবশ্যই পদ্মফুল ফুটিয়ে ছাড়েন। যেকোনো নির্বাচনেই বিজয় অর্জনের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির শক্তিশালী নেতা শাহর উপস্থিতিই যথেষ্ট।"

Comments