দেশের সমবায়গুলোর পরিসংখ্যান তুলে ধরবে জাতীয় ডেটাবেস : অমিত শাহ


এম রাজশেখর

নয়াদিল্লি (১০ মার্চ '২৪):- "ভারতের যে যে প্রান্তে সমবায় সমিতির ঘাটতি আছে সেখানে ব্যবধান চিহ্নিতকরণ করে সমবায় বাড়ানোর কাজে সহায়ক প্রমাণিত হবে জাতীয় ডেটাবেস," বলে মত প্রকাশ করেছেন ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah, MiC, Department of Home Affairs & Co-operation, Government of India)।
গত শুক্রবার নতুন দিল্লীর আইসিএআর-এর ভারত রত্ন সি সুব্রহ্মণ্যম সভাগারে আয়োজিত জাতীয় ডেটাবেসের উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ এই কথা জানান।

নরেন্দ্র মোদী-র নেতৃত্বে ও বরিষ্ঠ নেতা অমিত শাহ-র দক্ষ নির্দেশনায় বর্তমানে ধীরে ধীরে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে জরাজীর্ণ সমবায় সমিতিগুলো। বর্তমানে অধিকাংশ সমবায় সমিতিগুলোই কমপিউটারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে সংযুক্ত রয়েছে। সমগ্র দেশের সমবায়গুলোকে এখন বহুমুখী করে তোলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, "২০২৭ সাল নাগাদ দেশের প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি করে সমবায় থাকবে।" সম্ভবত এই ভবিষ্যতবাণীকে সত্য প্রমাণ করার জন্যই জাতীয় ডেটাবেস তৈরি করা হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, ডেটাবেসের মাধ্যমে সারা দেশে সমবায় সমিতির সংখ্যার ব্যবধান চিহ্নিত করণ তথা সমবায়গুলোর সম্প্রসারণ পর্ব সফল হবে। সমবায় সম্পর্কে প্রতিটি তথ্য এখন জাতীয় ডাটাবেসের মাধ্যমে মাত্র এক ক্লিকে পাওয়া যাবে।
একটা জাতীয় ডেটাবেস, নীতিনির্ধারক, গবেষক এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করে, সমবায় খাতের উন্নয়নের জন্য এটা একটা কম্পাস হিসেবে কাজ করবে।
প্রকৃতপক্ষে, এই ডাটাবেসটা ভারতের সমগ্র সমবায় ক্রিয়াকলাপের ভিত্তি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। ডাটাবেস পোর্টালের মাধ্যমে, ছোট সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশিকা পেতে পারে৷
পিএসিএস (PACS) থেকে এপিইএক্স (APEX), গ্রাম থেকে শহর, মান্ডি থেকে বিশ্ববাজার এবং রাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক মহলের তথ্য এই ডেটাবেসে সংযুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে৷
ভৌগোলিক ভারসাম্যহীনতা, সেক্টরাল ভারসাম্যহীনতা, সম্প্রদায়ের ভারসাম্যহীনতা, এবং কার্যকরী ভারসাম্যহীনতার সমাধান আদি যাবতীয় সমস্যাগুলোই এই ডাটাবেসের মধ্যে সূক্ষ্মভাবে সমাধান করা হয়েছে।
সমবায় খাতের উত্থান দেখে মনে হচ্ছে মোদীর সহযোগিতা সমৃদ্ধি আনবে, ডিজিটাল মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটাবে এবং ডেটাবেসের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করবে। বর্তমান সময়ে ৮ লক্ষেরও বেশি সমবায় নিবন্ধিত, এবং ৩০ কোটিরও বেশি নাগরিক এই সমিতিগুলির সাথে যুক্ত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর যুগ যুগ ধরে স্বতন্ত্র সমবায় মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি থাকলেও কোনো সরকারই তাতে কর্ণপাত করেনি। ফলে সমবায় খাতের অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে। ২০২১ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা পৃথক সহযোগিতা মন্ত্রক প্রতিষ্ঠার কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন, এবং এর কমান্ড কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা অমিত শাহকে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
ছোট বেলা থেকেই শাহ সমবায় খাতের সাথে যুক্ত ছিলেন, মাত্র কয়েক বছরে সমবায় সমিতির ক্ষমতায়নে কোন কসরত বাকি রাখেননি।

ভারতীয় জনতা পার্টি-র দাবী অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এক নতুন ভারত গড়ার কাজে নিয়োজিত আছেন এবং সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা তা বাস্তবায়নে সক্ষম অমিত শাহ ভারতীয় রাজনীতির দিক ও পরিস্থিতি পরিবর্তন করেছেন ফলতঃ, যে কারণে সমবায় মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা আজ বিকশিত হচ্ছে।

Comments