মোবাইল সহ দুই পরীক্ষার্থীকে সেট পরীক্ষা দিতে দেওয়ার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রীর কৈফিয়ত চাইল এবিভিপি

হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (১৭ ডিসেম্বর '২৩):- ফারাক্কা-র 'সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজ' (Syed Nurul Hasan College, Farakka)-এ রাজ্য পর্যায়ের কলেজ শিক্ষক নিয়োগ (State Eligibility Test) সংক্রান্ত পরীক্ষা চলার সময় দুই পরীক্ষার্থীকে বিশেষ সুযোগ দিয়ে আলাদা ঘরে মোবাইল সহ পরীক্ষা দিতে বসার সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করল 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ' (Rastriya Swang Sevak Sangha) সংক্ষেপে 'আর এস এস' (RSS)-এর ছত্রছায়ায় চলা ছাত্র সংগঠন 'অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ' (Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad) বা 'এবিভিপি' (ABVP)।

'অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ'-এর প্রদেশ অধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ সরকার (Anirudha Sarkar, State President, ABVP, West Bengal) আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, "বর্তমান রাজ্য সরকার শিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, আরো একবার প্রমাণিত। সেটের মত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাতে প্রিন্সিপাল তাঁর কোন ক্ষমতাবলে একাংশকে আলাদাভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে ও পরীক্ষায় ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তার জবাব কলেজের প্রিন্সিপালসহ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দিতে হবে এবং এর সঙ্গে যারা যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। জবাব দিতে না পারলে অবিলম্বে ওই কলেজের প্রিন্সিপালসহ শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ।"


এবিভিপি-র দক্ষিণ বঙ্গ শাখা আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, "...ফারাক্কার‌ সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজে দুই SET (স্টেট এলিজিবিলিটি‌ টেস্ট) পরীক্ষার্থীকে আলাদা ঘরে মোবাইল সহ বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার এই অভিযোগ উঠেছে কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অনিয়ম দেখতে পেয়ে ফেসবুকে লাইভ করতে শুরু করেন ওই কলেজের অধ্যাপক সৃজয় মণ্ডল। লাইভ চলাকালীনই ওই অধ্যাপকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁর অভিযোগ প্রিন্সিপাল টাকার বিনিময়ে ওই দুই পরীক্ষার্থীকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন।"

Comments