চিৎকার করে বেসুরে গান গাওয়াটাই আজকের দিনে চল হয়ে উঠেছে : কল্যাণ সেন বরাট


হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (৯ ডিসেম্বর '২৩):- "চিৎকার করে বেসুরে গান গাওয়াটাই আজকের দিনে চল হয়ে উঠেছে," বলে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ তথা সুরকার কল্যাণ সেন বরাট (Kalyan Sen Barat, Eminent Musician)।

সঙ্গীত শিল্পী বিদুষী অনুসূয়া মুখোপাধ্যায় (Anusua Mukhopadhyay, Singer)-এর আশিতম জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে তাঁরই ছাত্রীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সঙ্গীত সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত থেকে কল্যাণ সেন বরাট এই মন্তব্য করেন।

বিধাননগরের বিডি ব্লকে অবস্থিত 'লবনহ্রদ মঞ্চ'-এ আয়োজিত সঙ্গীত সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির ভাষণে শ্রী বরাট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, "বর্তমানের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আজ যদি লতা মঙ্গেশকর বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনিও হয়তো সুযোগ পেতেন না। গান আজ যেন ইংরেজি শব্দকোষের 'গান' (Gun) হয়ে উঠেছে। রিয়েলিটি শো-এর অধিকাংশ গায়ক গায়িকার স্বকণ্ঠে গাওয়া গানের উপর স্বর ও সুর সংযোজন বা ক্ষেত্রবিশেষে বিভ্রাট ঘটিয়ে তবেই তা বিভিন্ন টিভির পর্দায় দেখানো হচ্ছে। এই অ সুরের জগৎ থেকে ভারত তথা বাঙলা যত তাড়াতাড়ি বেরতে পারবে ততই মঙ্গল।"


বিদুষী অনুসূয়া মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে তথ্য পরিবেশন করতে গিয়ে তাঁরই ছাত্রী বিপাশা মিত্র (Bipasha Mitra) জানান, "১৯৪২ সালের ৭ ডিসেম্বর জামশেদপুরে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অনুসূয়া দেবী।
মাত্র ৫ বছর বয়স থেকেই উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আঙিনায় তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়।
বিবাহোত্তর জীবনে বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পীদের কাছে খেয়াল, ভজন, গীত, রাগপ্রধান, নজরুল গীতি শিক্ষা শুরু করেন অনুসূয়া মুখোপাধ্যায়।
কোলকাতা বেতার কেন্দ্র ও দূরদর্শনে নিয়মিত কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী অনুসূয়া মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত মূর্ছনায় ১৯৮৪ সালে তৎকালীন এইচ এম ভি থেকে বেরোয় প্রথম রেকর্ড।
সঙ্গীতমোদী জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে অনুসূয়া মুখোপাধ্যায় 'আমোদিনী' নামে এক কয়ার-ও নির্মাণ করেছেন।"

ছাত্রীদের আয়োজনে মন্ত্রমুগ্ধ অনুসূয়া মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, "আমাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই আমার আত্মীয় ও ছাত্রীরা আজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।" 

Comments