পশ্চিমবঙ্গেও দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে ব্লাডার ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা


হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (৭ নভেম্বর '২৩):- এতদিন দেশের সাধারণ নাগরিক 'মুখের ক্যানসার', 'স্তন ক্যানসার', 'জরায়ু মুখের ক্যানসার'-এর মতো কয়েকটা ক্যানসার রোগের ধরণের কথা বিশদে জানলেও এবার ভারতের আপামর নাগরিক আস্তে আস্তে 'ব্লাডার ক্যানসার' (Bladder Cancer) রোগকেও সমীহ করতে শুরু করেছে।

বিভিন্ন স্বাধীন সমীক্ষা ও জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যানসার পঞ্জিকরণ (Population Based Cancer Register)-এর মতে প্রতি বছর ভারতে নতুন করে ২০ হাজার জন (20 Thousands Per Annum) নাগরিক এই রোগের শিকার হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের কাছে এটা আরো বেশি চিন্তার যে ভারতের রোগাক্রান্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের স্থান একেবারেই প্রথম দিকে আছে।

পশ্চিমবঙ্গে দিন দিন বেড়েই চলেছে 'ব্লাডার ক্যানসার'-এ আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে যে যে কারণে পশ্চিমবঙ্গে দিন দিন লাগামছাড়া ভাবে বেড়ে চলেছে 'ব্লাডার ক্যানসার'-এর ঘটনা তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল :-
¤ অত্যধিক মাত্রায় তামাক বা তামাকজাত পদার্থ সেবন।
¤ পানীয় জলে 'আর্সেনিক'-এর দীর্ঘমেয়াদে উপস্থিতি।
¤ 'ডাই কারখানা'-র মতো বিভিন্ন রাসায়নিক কারখানায় কাজ।
¤ শুরুতে রোগ লক্ষণ উপেক্ষা বা গোপন করা।

দিন দিন পশ্চিমবঙ্গে কেনো এই রোগ এভাবে বেড়ে চলেছে এই বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে কোলকাতার 'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশিয়ালিটি হসপিটাল'-এর 'ইউরো ওঙ্কোলজি অ্যাণ্ড রোবটিক সার্জারি' বিভাগের বরিষ্ঠ পরামর্শদাতা চিকিৎসক তরুণ জিন্দাল (Dr. Tarun Jindal, Senior Consultant, Dept. of Uro Oncology & Robotic Surgery, Apollo Multispeciality Hospitals, Kolkata) জানিয়েছেন, "পানীয় জলে আর্সেনিক-এর উপস্থিতি, অত্যধিক মাত্রায় তামাক বা তামাকজাত পদার্থ সেবন, বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক কারখানায় সুরক্ষা বিহীন অবস্থায় কাজ করার মতো বিষয়গুলো প্রাথমিক সমীক্ষাগুলোতে ধরা পড়েছে।
'ব্লাডার ক্যানসার'-এর মতো মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও বিবিধ অজ্ঞতা, উপেক্ষা ও রোগ গোপন করার অনাবশ্যক মানসিকতা প্রস্রাবের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ (Haematuria)-এর মতো রোগগুলোকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিচ্ছে।"

'ব্লাডার ক্যানসার'-এর ক্ষেত্রে 'শল্যচিকিৎসা' ছাড়াও রয়েছে 'কেমোথেরাপি', 'ইমিউনোথেরাপি', 'রেডিয়েশন থেরাপি' এবং বর্তমানের যুগোপযোগী 'রোবোটিক অ্যাসিস্টেড সার্জারি'-র মতো নানান রোগ উপশম চিকিৎসা ব্যবস্থা।
এই পর্যায়ে 'দ্য ভিঞ্চি'-র মত উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে অভূতপূর্ব নিখুঁত এবং দ্রুত অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে।


Comments