মানসিক চাপ থেকে নিষ্কৃতি পেতে অবিলম্বে করুন সিবিটি পরীক্ষা : ডাঃ দেবাশিস ঘোষ


হীরক মুখোপাধ্যায়

কোলকাতা (১৬ সেপ্টেম্বর '২৩):- "নিজের এবং পরিবারের প্রত্যেকের মানসিক চাপ কমাতে পারে সামান্য এক রক্ত পরীক্ষা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই রক্ত পরীক্ষার নাম 'সেরিব্রাল ব্লাড টেস্ট' (Cerebral Blood Test) সংক্ষেপে 'সিবিটি' (CBT)", জানিয়েছেন কোলকাতার অন্যতম মনরোগ চিকিৎসক ডাঃ দেবাশিস ঘোষ (Dr. Devasis Ghosh, Psychiatrist)।

ডাঃ ঘোষের মতে, "সামান্য এই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পীড়িতের মানসিক চাপের পরিমাণ (Mental Stress Level) জানা সম্ভব হয়, আর মানসিক চাপের পরিমাণ জানা গেলে শুধু মানসিক অবসাদ সংক্রান্ত রোগই নয় বরং মধুমেহ (Diabetes), কর্কট রোগ (Cancer)-এর মতো সমস্যাকেও নির্মূল করা সম্ভব হবে।"

আজ কোলকাতা প্রেস ক্লাব (Press Club Kolkata)-এ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ডঃ দেবাশিস ঘোষ ও তাঁর সহায়িকা অনিন্দিতা গুহ (Anindita Guha) এই কথা জানান।

বলে রাখা ভালো, ১৯৮৪ সালে কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক হন ডাঃ দেবাশিস ঘোষ, পরে চলে আসেন মনোরোগের জগতে।

চিকিৎসক দেবাশিস ঘোষ ও অনিন্দিতা গুহ-র মতে "রক্তের রাসায়নিক শ্রেণী বিন্যাস ও তার পরীক্ষা করেই বোঝা সম্ভব মানুষের মানসিক চাপের পরিমাণ।"


ডাঃ দেবাশিস ঘোষ এবং অনিন্দিতা গুহ আজ তাঁদের গবেষণা লব্ধ জ্ঞানের উপর আলোকপাত করে জানিয়েছেন, "দেখা গেছে আমাদের রক্তে যে রাসায়নিকগুলি মানসিক চাপের সাথে যুক্ত তা বিভিন্ন ভাবে মিলে মিশে কাজ করে। 

মানব আচরণের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্লেটলেট সেরোটোনিন স্তর (Platelet Serotonin Layer), মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া এবং সাইকোট্রপিক ওষুধের নির্বাচনকে তুলে ধরে। এই দুটি রাসায়নিক মনের চাপে একই সাথে কাজ করে। এটা আমাদের চাপকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
আগে, মানুষের ধারণা ছিল এই রাসায়নিকগুলি জন্ম থেকেই একই থাকে, তবে গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপই এদের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণ।
গবেষণায় মানুষের চাপের পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাদের আলাদা আলাদা ভাবে গোষ্ঠীভুক্ত করা হয়েছে।
সেরোটোনিন বা ডোপামিন কম বেশি থাকার কারণেই যাবতীয় সমস্যার শুরু হয়।"

Comments