প্রকাশ্যে এল ভক্তিমূলক সঙ্গীতের তালে তালে জনৈক নাগা সন্ন্যাসীর নৃত্যের ধারাচিত্র


হীরক মুখোপাধ্যায় 

কোলকাতা (২২ এপ্রিল '২৩):- 'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন' (West Bengal Oxygen Foundation)-এর সৌজন্যে প্রকাশ্যে এল ভক্তিমূলক সঙ্গীতের তালে তালে জনৈক নাগা সন্ন্যাসীর নৃত্যের ধারাচিত্র (Dancing step of a Naga Ascetic)।

পয়লা বৈশাখ-এর প্রাক্কালে তারকেশ্বরের 'লাল পাকা শ্মশান' (Lal Paka Crematorium Ground, Tarakeswar)-এ আয়োজিত 'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চে নাগা সন্ন্যাসকে নৃত্যরত অবস্থায় দেখা গেছে।

'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর কর্ণধার কালিদাস কর্মকার (Kalidas Karmakar, Settler, West Bengal Oxygen Foundation) জানিয়েছেন, "নৃত্যরত ওই নাগা সন্ন্যাসের নাম মোহন্ত বিকাশানন্দ পুরী (Mohanta Vikashanand Puri, Senior Saint of Naga)। ছত্তিশগড় (Chattisgarh)-এ তাঁর একটা আশ্রম আছে।"

বলে রাখা ভালো, 'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্বপনদাস বাউল-এর গাওয়া 'তোমায় আমরা ছাড়ব না /তোমায় আমরা ভুলব না/তোমার গলায় দেব বেলফুলের মালা/আমরা ভোলাবাবার চেলা,' গানের তালে তালে নাগা সন্ন্যাসকে মঞ্চে উদ্বাহু হয়ে নাচতে দেখা যায়।


'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর অছি পরিষদের সদস্য তথা কোষাধ্যক্ষ ডেভিড কিশোর হেমব্রম (David Kishore Hembram, Trustee & Treasurer, West Bengal Oxygen Foundation) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "পয়লা বৈশাখের প্রাক্কালে চার পাঁচদিন ধরে নাগা সন্ন্যাস ও তাঁর সম্প্রদায় তারকেশ্বরের লাল পাকা শ্মশান সংলগ্ন এলাকাকে আশ্রয় করে সাধন ভজন ও সেবাকাজে রত ছিলেন। তাঁদের আখড়াতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিল 'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'।
গত ২৮ চৈত্র, বুধবার (১২ এপ্রিল) নাগা সন্ন্যাসীর নৃত্যের এই ধারাচিত্র (Video) ক্যামেরা বন্দী করেন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর জনৈক শুভাকাঙ্ক্ষী।" 

'ওয়েস্ট বেঙ্গল অক্সিজেন ফাউণ্ডেশন'-এর তরফ থেকে আরো জানানো হয়েছে, "বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-এর প্রাক্কালে ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল আমাদের বাংলা বছরের শেষ অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সমীর দাস বাউল, আরতি দাস বাউল, নিমাইচাঁদ বাউল, স্বপন দাস বাউল, নীলু দাস বাউল ও তাঁদের সম্প্রদায়।"

অপরদিকে নাগা সন্ন্যাসের অনুগামীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, "লীলাবতীর বিয়ে, চড়ক পুজো ও গাজন-এর কথা স্মরণে রেখে শ্মশান চত্বরে প্রায় চার শতাধিক নরনারীর মুখে আহার তুলে দিয়েছিলেন মোহন্ত বিকাশানন্দ পুরী।"

Comments