সিকল সেল ডিজিজ ও নিউট্রিসিওনাল অ্যানিমিয়ার উপর গাইডলাইন প্রকাশ করলেন অর্জুন মুণ্ডা


হীরক মুখোপাধ্যায় 

কোলকাতা (৫ নভেম্বর '২২):- সিকল সেল ডিজিজ ও নিউট্রিসিওনাল অ্যানিমিয়া (Sickle cell disease & Nutritional Anemia)-র উপর আই সি এইচ- আই সি এম আর গাইডলাইন (ICH-ICMR Guidelines) প্রকাশ করলেন ভারত সরকারের আদিবাসী বিষয়ক বিভাগের মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা (Arjun Munda, MIC Dept. of Tribal Affairs, Govt. of India)।

অর্জুন মুণ্ডা গতকাল কোলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার (Biswabangla Convention Centre, Kolkata)-এ 'ইণ্ডিয়ান সোসাইটি অব হেমাটোলজি অ্যাণ্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন' (Indian Society of Haematology & Blood Transfusion)-এর ৬৩ তম বার্ষিক সভা (63rd Annual Conference) হেমাটোকন -২০২২ (HAEMATOCON - 2022)-এ মুখ্য অতিথি তথা উদ্বোধক রূপে এসে রক্তরোগ সম্পর্কিত এই গাইডলাইন প্রকাশ করেন।

বলে রাখা ভালো, এই মুহুর্তে দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিক বংশগত, রোগজনিত বা অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন ধরণের দুরারোগ্য রক্তরোগের শিকার।
শুধু তাই নয় এই মুহুর্তে দেশের কিছু সম্প্রদায়ের ৬০ শতাংশ জনগণ সিকল শেল রোগের শিকার।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে দেশজুড়ে একদিকে অ্যানিমিয়া (Anemia), থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia), হিমোফিলিয়া (Hemophilia) রোগের যেমন গম্ভীর উপস্থিতি টের পাওয়া যাচ্ছে তো অন্যদিকে লিউকোমিয়া (Leukaemia), মাইলোমা (Myeloma) বা লিম্ফোমা (Lymphoma) রোগের বিপজ্জনক উপস্থিতি এখন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।

গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মেডিক্যাল শিক্ষা বিভাগের নির্দেশক (Director of Medical Education) অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য (Prof. Debashis Bhattacharyay)-র উপস্থিতিতে রক্তরোগ সম্পর্কিত এই গাইডলাইন প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা আশাপ্রকাশ করেন, "আধুনিক বিজ্ঞান ও দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দের হাতযশের কারণে দেশ নিশ্চয়ই এই সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়াবে।"


আই এস এইচ বি টি-র অধ্যক্ষ এইচ পতি (H Pati, President ISHBT) সংগঠনের বাকি সদস্য ও সদস্যাবৃন্দের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, "৬৩ তম বার্ষিক সভা শুরু হয়েছে গত ৩ নভেম্বর থেকে চলবে আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সভায় যোগদান করেছেন কমবেশি ১,৫০০ চিকিৎসক। সভায় একদিকে যেমন থাকবে বাস্তবধর্মী কর্মশালা (Realistic Workshop), ঠিক তেমনি থাকবে দেশের যশস্বী চিকিৎসকদের বক্তব্য শোনার অবকাশ। কমবেশি ৩০০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিভিন্ন বিষয়ে সভায় নিজেদের বক্তব্য রাখবেন।"

Comments