ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিল কোলকাতা অ্যাপোলো


হীরক মুখোপাধ্যায় 

কোলকাতা (২৮ অক্টোবর '২২):- বিশ্ব স্ট্রোক দিবস (World Stroke Day)-এর প্রাক্কালে, ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke) সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিল 'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটাল'- এর কোলকাতা শাখা (Apollo Multispeciality Hospitals, Kolkata)।

আজ 'কোলকাতা প্রেস ক্লাব'-এ হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (Director of Medical Services) ডাঃ সুরিন্দর সিং ভাটিয়া (Dr. Surinder Singh Bhatia)-র নেতৃত্বের কোলকাতা অ্যাপোলো-র স্নায়ুরোগ বিভাগের নির্দেশক (Director, Department of Neurology) ডাঃ অমিতাভ ঘোষ, জরুরীকালীন ঔষধ বিভাগ (Department of Emergency Medicine)-এর চিকিৎসক (Consultant, Dr. Arijit Bose) এবং ইন্টারভেনশনাল নিউরো রেডিওলজিস্ট বিভাগ (Department of Interventional Neuro-radiologist)-এর চিকিৎসক নির্মাল্য রায় (Consultant Dr. Nirmalya Ray) ব্রেন স্ট্রোক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে যেখানে প্রতি ৬ জনে ১ জনের ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, এখন সেখানে প্রতি ৪ জনে ১ জনের অসুস্থ হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।

আলোচনায় উঠে এলো, স্ট্রোক মূলতঃ দুই ধরণের ইসকিমিক স্ট্রোক (Ischaemic Stroke) এবং হেমারোজিক স্ট্রোক (Haemorrhagic Stroke)।
ইসকিমিক স্ট্রোক হলে মস্তিস্কের একটা অংশে রক্ত সঞ্চালন কমে গিয়ে সেই এলাকার ব্রেন টিস্যুগুলো অকেজো হয়ে যায়।
অন্যদিকে হেমারোজিক স্ট্রোক হলে ব্রেন টিস্যু, ভেন্ট্রিকল বা দুটোতেই হঠাৎ রক্তক্ষরণ হয়।
এই দুই ধরণের স্ট্রোকেই ব্রেন সেলগুলোর ক্ষতি হয়।
স্ট্রোক হওয়ার ৪.৫ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা খুব জরুরী। এর থেকে দেরিতে চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, যার ফলে সম্পূর্ণ পক্ষাঘাত, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

Comments