নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস বারাসাতের সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক মানবিক কার্যক্রম

হীরক মুখোপাধ্যায় 

কোলকাতা (২৪ সেপ্টেম্বর '২২):- বিশ্ব হৃদয় দিবস (World Heart Day) কে সামনে রেখে 'নারায়ণা মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস' (Narayana Multispeciality Hospitals)-এর বারাসাত শাখা (Barasat Branch) জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের মধ্যে এক মুখোমুখি আলোচনা চক্রের আয়োজন করেছিল। 


আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন ডাঃ সুনন্দন শিকদার (Dr. Sunandan Shikdar), ডাঃ অরিয়ম কর (Dr. Auriom Kar) এবং ডাঃ অরুণাংশু ঢোলে (Dr. Arunangshu Dhole)-এর মতো স্বনামধন্য চিকিৎসকবৃন্দ।
নাগরিক সমাজের মঙ্গলের জন্য চিকিৎসকগণ বেশ কিছু সতর্কতামূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আলোচনায় যেমন উঠে এসেছে একজন ব্যক্তি নিজের কী লক্ষ্মণ দেখে প্রাথমিকভাবে বুঝবেন তাঁর হৃদয় সমস্যায় পড়তে চলেছে, তাঁর কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, তেমনই উঠে এসেছে 'প্রথাগত শল্য চিকিৎসা' (Conventional Open Heart Surgery) এবং বর্তমান যুগোপযোগী 'মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি' (Minimally Invasive Cardiac Surgery) এবং 'ট্রান্সক্যাথিটার এওরটিক ভাল্ভ রিপ্লেসমেন্ট' (Transcatheter Aortic Valve Replacement)-এর মধ্যে পার্থক্য ও তাদের গুণাগুণ। শল্য চিকিৎসার পরবর্তী সময় রোগীর পথ্য, পরিচর্যা ও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়।


বলে রাখা ভালো, এই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হবে বিশ্ব হৃদয় দিবস (World Heart Day)।
'ওয়ার্ল্ড হার্ট ফাউন্ডেশন' (World Heart Foundation) প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর হৃদয় ঘটিত রোগের কারণে ১৮.৬ মিলিয়ন মানুষ প্রাণত্যাগ করেন। যা সামগ্রিক মৃত্যু সংখ্যার প্রায় ৩২ শতাংশ।
কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজেজ (Cadio Vascular Diseases/CVD) সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে 'ওয়ার্ল্ড হার্ট ফাউন্ডেশন', 'ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে' পালন করে আসছে।


এই বছর 'বিশ্ব হৃদয় দিবস'-এর রূপ কল্পনা (Theme) 'নিজের হৃদয়কে সবার হৃদয়ের জন্য ব্যবহার করো' (Use ❤ for Every ❤)।
কথাটার মানে অনেকাংশে এই রকম, আবেগের পরশ মেখে অন্য হৃদয়ের কথা ভাবো, তাঁদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দাও। হৃদয় ব্যবহৃত হোক মানবিক কাজে (Use Heart for Humanity), হৃদয় ব্যবহৃত হোক প্রকৃতির মঙ্গলের জন্য (Use Heart for Nature), হৃদয় ব্যবহৃত হোক নিজের জন্য (Use Heart for you)।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনায় অংশ নিয়ে চিকিৎসকবৃন্দ নাগরিক সমাজকে মূলত চারটে বিষয়ের উপর জোর দিতে বলেছেন। বিষয়গুলো অনেকটা এরকম :
নিম্নলিখিত বিষয় মেনে জীবনশৈলীর পরিবর্তন আনতে হবে।
● সূর্য্য ওঠার আগেই বিছানা ত্যাগ করতে হবে
● স্বাস্থ্যবর্ধক ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে
● ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়
● প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিঃ ব্যায়াম করা আবশ্যক 
● রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে।

Comments