হীরক মুখোপাধ্যায়
কোলকাতা (২০ সেপ্টেম্বর '২২):- বয়োবৃদ্ধ প্রবীণ নাগরিক যাঁদের বয়স সত্তরেরও বেশি, সাবেক চিকিৎসা পদ্ধতিতে সচরাচর যাঁদের শল্য চিকিৎসা করা সম্পূর্ণটাই ঝুঁকিপূর্ণ; সেই সমস্ত রোগীদেরও এখন 'মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি' (Minimally Invasive Cardiac Surgery)-র মাধ্যমে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনছেন কোলকাতা (Kolkata)-র অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস (Apollo Multispeciality Hospitals)।
হাসপাতালের বক্তব্য অনুযায়ী, "গত ১০ বছরে 'এমআইসিএস' পদ্ধতির মাধ্যমে ৪ হাজারের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের জীবন দান করা সম্ভব হয়েছে।"
আজ 'কোলকাতা প্রেস ক্লাব' (Kolkata Press Club)-এ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন (Press Meet)-এ অংশগ্রহণ করে 'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস কোলকাতা'-র অন্যতম নির্দেশক (Director) এবং কার্ডিও থোরাসিক অ্যাণ্ড ভাস্কুলার সার্জন (Cardio Thoracic & Vascular Surgeon) ডাঃ সুশান মুখোপাধ্যায় (Dr. Sushan Mukhopadhyay) জানান, "প্রথাগত 'ওপেন হার্ট সার্জারি'-র তুলনায় 'এমআইসিএস' পদ্ধতিতে অনেকগুলো বাড়তি সুবিধা রয়েছে, সুবিধাগুলো এরকম :-
👉 অতি উন্নত সরঞ্জাম এবং উন্নত কৌশলের ফলে অস্ত্রোপচার নিরাপদে করা সম্ভব হয়।
👉 কোনো হাড় কাটা হয় না।
👉 রক্তপাতের পরিমাণ অগ্রাহ্য করার মত, ফলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। রক্তবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
👉 আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরে ফুসফুসে সংক্রমণের পরিমাণ কমে যায়। তাই এই সার্জারি ডায়বেটিসের রোগী বা সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীদের জন্য আদর্শ।
👉 যে ছিদ্রটা করা হয় তা একেবারেই ছোট, মাত্র ২-৩ ইঞ্চির। ফলে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে এটা বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সুতরাং ক্ষত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
👉 হাসপাতালে থাকার এবং সেরে ওঠার সময় এই কেসে ন্যূনতম এবং স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণত অস্ত্রোপচারের ৭ দিনের মধ্যে রোগী পুরোপুরি সেরে ওঠেন।
👉 ভবিষ্যতের অস্ত্রোপচারগুলোতে ঝুঁকির দিক উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।"
হাসপাতালের বক্তব্য অনুযায়ী, "গত ১০ বছরে 'এমআইসিএস' পদ্ধতির মাধ্যমে ৪ হাজারের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের জীবন দান করা সম্ভব হয়েছে।"
আজ 'কোলকাতা প্রেস ক্লাব' (Kolkata Press Club)-এ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলন (Press Meet)-এ অংশগ্রহণ করে 'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস কোলকাতা'-র অন্যতম নির্দেশক (Director) এবং কার্ডিও থোরাসিক অ্যাণ্ড ভাস্কুলার সার্জন (Cardio Thoracic & Vascular Surgeon) ডাঃ সুশান মুখোপাধ্যায় (Dr. Sushan Mukhopadhyay) জানান, "প্রথাগত 'ওপেন হার্ট সার্জারি'-র তুলনায় 'এমআইসিএস' পদ্ধতিতে অনেকগুলো বাড়তি সুবিধা রয়েছে, সুবিধাগুলো এরকম :-
👉 অতি উন্নত সরঞ্জাম এবং উন্নত কৌশলের ফলে অস্ত্রোপচার নিরাপদে করা সম্ভব হয়।
👉 কোনো হাড় কাটা হয় না।
👉 রক্তপাতের পরিমাণ অগ্রাহ্য করার মত, ফলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। রক্তবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
👉 আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরে ফুসফুসে সংক্রমণের পরিমাণ কমে যায়। তাই এই সার্জারি ডায়বেটিসের রোগী বা সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা দুর্বল এমন রোগীদের জন্য আদর্শ।
👉 যে ছিদ্রটা করা হয় তা একেবারেই ছোট, মাত্র ২-৩ ইঞ্চির। ফলে হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে এটা বোঝা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সুতরাং ক্ষত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
👉 হাসপাতালে থাকার এবং সেরে ওঠার সময় এই কেসে ন্যূনতম এবং স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণত অস্ত্রোপচারের ৭ দিনের মধ্যে রোগী পুরোপুরি সেরে ওঠেন।
👉 ভবিষ্যতের অস্ত্রোপচারগুলোতে ঝুঁকির দিক উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।"
উদাহরণ দিতে গিয়ে ডাঃ মুখোপাধ্যায় আরো জানান, "অতি সম্প্রতি আমরা জনৈক সমীর ভট্টাচার্য (৮২+)-কেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছি।"
'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস কোলকাতা'-র স্বাস্থ্য অধিকর্তা (Director of Medical Services) ডাঃ সুরিন্দর সিং ভাটিয়া (Dr. Surinder Singh Bhatia) ও শল্য চিকিৎসক ডাঃ সুশান মুখোপাধ্যায়-এর মাঝে বসে শ্রী ভুঁইয়া জানান, "অল্প একটু কাটাছেঁড়া করেই শল্য চিকিৎসা সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসক, আট দিনের মাথায় আমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আগের তুলনায় আমি এখন অনেক ভালো আছি।"
Comments
Post a Comment