মধুমেহতেও পরিমিত মাত্রায় মধু খাওয়া যেতে পারে : সোনালী ঘোষ

হীরক মুখোপাধ্যায়
কোলকাতা (২৩ জুলাই '২২):-
"মধুমেহ (Diabetes)-তেও পরিমিত মাত্রায় মধু (Honey) খাওয়া যেতেই পারে," বলে আশ্বস্ত করলেন এই সময়ের অন্যতম খ্যাত পথ্যব্যবস্থাবিদ (Dietitian) সোনালী ঘোষ (Sonali Ghosh)।

১৬ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডায়েটিশিয়ান সোনালী ঘোষ-এর মতে, "মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকার সময় খাবারের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য রেখে রোগী নির্দিষ্ট মাত্রায় মধু, আখের গুড়, এমনকি আম, সফেদা, তরমুজ এর মতো সুমিষ্ট ফল (সর্বাধিক ১০০ গ্রাম) এমনকি দু একটা মিষ্টিও খেতে পারেন।"

আজকের দিনে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস মেলিটাস একটা পরিচিত রোগ, অনেকেই একে সুগার বলেও অভিহিত করে থাকেন।
কারো শরীরে এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে অনেকেই ভেবে থাকেন, এবার বোধহয় সকাল বিকেল উচ্ছে-করলা আর লাউয়ের রস তার সাথে এক কাপ ভাত আর তিনটে রুটি খেয়েই বাকি জীবনটা অতিবাহিত করতে হবে।
কিন্তু বাস্তবে এ এক ভ্রান্ত ধারণা। কারো 'মধুমেহ রোগ হলে তাঁকে একদিকে যেমন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে, তেমনই প্রাথমিক অবস্থা থেকে রোগী যদি কোনো পথ্যব্যবস্থাবিদ-এর দ্বারস্থ হন তাহলে কোনো মধুমেহ রোগীকেই বোধহয় সারাজীবন উচ্ছে করলার রস খেয়ে থাকতে হবে না।

আজ 'বিশ্ব দর্পণ' (Viswa Darpan)-কে এক একান্ত সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পথ্যব্যবস্থাবিদ সোনালী ঘোষ জানান, " কারো চূড়ান্ত অজ্ঞতা নয়তো পরামর্শের ভ্রান্ত উপলব্ধির ফলে 'মধুমেহ হলে নিয়মিত তেঁতোরস খেতে হবে'-র মতো একটা আজগুবি ধারণা সমাজে পল্লবিত হয়ে চলেছে। এই ধারণার যথার্থতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সাধারণ মানুষ নিজের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য চিকিৎসকের পাশাপাশি পৃথকভাবে কোনো পথ্যব্যবস্থাবিদ-এর কাছেও যান। অথচ ভারতের মতো দেশে এখনো সেই সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি, ফলতঃ এখনো চিকিৎসকের উপদেশ মতোই কোনো রোগী পৃথকভাবে পথ্যব্যবস্থাবিদ-এর স্মরণাপন্ন হন। এই ব্যাবস্থার পরিবর্তে যদি জনগণ তার প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো পথ্যব্যবস্থাবিদ-এর কাছে আলাদাভাবে যাওয়া অভ্যাস করতেন, তাহলে অনেক রোগীকেই নিয়মিতভাবে সকাল বিকেল এইসব তেঁতো রস খেতে হত না।"

মধুমেহ হলে কী কী খাওয়া যাবে :-

সোনালী ঘোষ-এর মতে কোনো রোগীর মধুমেহ যদি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থেকে থাকে তাহলে রোগী তাঁর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী 
👉 পরিমিত পরিমাণে সব খাবারই খেতে পারবেন।
👉 উৎসব বা ধর্মীয় বা মাঙ্গলিক কাজে রোগী স্বল্প পরিমাণে হলেও মিষ্টি খেতে পারবেন।

মধুমেহ হলে কী খাওয়া চলবে না :-

সোনালী ঘোষ আজ পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, মধুমেহ রোগ হলে
👉 চায়ের সাথে চিনি মিশিয়ে খাওয়া চলবে না।
👉 সাধারণ অবস্থায় সারাদিনে দু চামচের বেশি চিনি (Sugar) না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।

পথ্যব্যবস্থাবিদ-এর মুঠোভাস :

+৯১ ৯০৩৮২ ২৭১২৪


 

Comments