নিজস্ব প্রতিনিধি (বিশ্ব দর্পণ)
কোলকাতা (২৮ জুলাই '২২):- 'অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হসপিটালস',-এর কোলকাতা শাখা (Apollo Multispeciality Hospital, Kolkata) আজ 'ইনডিউসড স্পুটাম ল্যাব' (Induced Sputum Lab) চালুর কথা ঘোষণা করল।
সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, "পূর্ব ভারতের বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে 'অ্যাপোলো'-ই প্রথম হাসপাতাল যারা 'ইনডিউসড স্পুটাম সেল কাউন্ট' (Induced Sputum Cell Count) চালু করল।"
ভারতে ইনডিউসড স্পুটাম সেল কাউন্ট-এর ইতিবৃত্ত
বিদেশের দেখাদেখি ভারতের রেল কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ১৯৫০ - ৬০ সালে এই পদ্ধতি প্রথম প্রয়োগ শুরু করেন ডাঃ অঙ্গীরা দাশগুপ্ত।কিন্তু এটা সময় ও শ্রম সাপেক্ষ হওয়ার জন্য এক ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি বলে বিবেচিত হওয়ার ফলে এই পদ্ধতি তখনকার মতো বন্ধ হয়ে যায়।
কেন এই পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজন
সংক্ষেপে বলতে গেলে, আগে ধারণা করা হতো অ্যাজমা (Asthma) বা হাঁপানি মূলতঃ এক ধরণের অসুখ। পরে বোঝা যায় গঠনগত ও শ্রেণীগত পার্থক্যের কারণে এই অসুখ বিভিন্ন প্রকারের হয়।'ইনডিউসড স্পুটাম সেল কাউন্ট'-এর ফলে রোগের যথাযথ কারণকে সুচারুরূপে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, ফলতঃ রোগীকে সময়োপযোগী চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় এবং রোগীও প্রয়োজনীয় আরাম বোধ করেন।
ইনডিউসড স্পুটাম সেল কাউন্ট পরীক্ষার খরচ
সময় ও শ্রম সাধ্য পরীক্ষা পদ্ধতি হওয়ার জন্য এই পরীক্ষা করতে ক্ষেত্রবিশেষে ২,৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা লাগতে পারে।পরীক্ষার ধরণ
গুরুতর হাঁপানি রোগীর হাঁপানির ধরণ বা প্রদানের ধরণকে চিহ্নিত করার জন্য যে 'ইনডিউসড স্পুটাম সেল কাউন্ট' পরীক্ষা পদ্ধতি-র কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ রূপে বেদনাহীন এক পরীক্ষা পদ্ধতি।এই পদ্ধতিতে করা পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুস(Lung)-এর এয়ারওয়ে (Airway)-তে প্রদাহ (Inflammation)-র অস্তিত্ব, ধরণ এবং মাত্রা-কে সঠিক ভাবে জানা সম্ভব হয়।
কীভাবে এই পরীক্ষা করা হয়
যে সমস্ত রোগী স্বাভাবিক ভাবে মুখ দিয়ে শ্লেষ্মা বা কফ বার করতে অপারগ, এই পরীক্ষার সময় নেবুলাইজার (Nebulizer) মেশিনের সহায়তায় বিভিন্ন ঘণত্বের স্যালাইন জল (Salain water) প্রথমে তাঁরা প্রশ্বাসের সাথে টেনে নেন।তারপর কাশির মতো আচরণ করলেই মুখ থেকে যে স্রাব/শ্লেষ্মামিশ্রিত লালা পাওয়া যায় সেটাই পরীক্ষা করা হয়।
কারা এই পদ্ধতির সহায়তা নেবেন
চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের মতো দেশে যত অ্যাজমা বা হাঁপানি-র রোগী দেখা যায় তার মধ্যে শতকরা ৯৭-৯৮ ভাগ রোগীকে ইনহেলার জাতীয় চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করা হয়।কিন্তু শতকরা ২-৩ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে রোগের প্রকোপ এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে তাঁদের হাসপাতালে জীবনদায়ী চিকিৎসা পরিষেবার আওতায় রাখা হয়।
তাই প্রত্যেক রোগীরই এই পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের রোগের প্রকারটা জেনে রাখা ভালো।
Comments
Post a Comment