হাতেকলমে শিক্ষার মাধ্যমে সমাজকে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছে বন্ধন


হীরক মুখোপাধ্যায় 
কোলকাতা (১৩ জুলাই '২২):- 'বন্ধন কোন্নগর' (Bandhan Konnagar)-এর সহযোগিতায়, 'ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন' (National Skill Development Corporation) অনুমোদিত 'এমপ্লয়েড দ্য আনএমপ্লয়েড পার্সন' (Employed the Unemployed Person) সংক্ষেপে ইইউপি (EUP) কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রত্যেক বছর কয়েক হাজার ছেলেমেয়েকে জীবিকার সন্ধান দেওয়ার দাবী জানাল 'বন্ধন ব্যাঙ্ক' (Bandhan Bank)। 

সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের 
মানুষদের সহায়তার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে কোলকাতার গড়িয়াতে পরিকল্পিত ভাবে প্রথম বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করে 'বন্ধন ব্যাঙ্ক'।
বর্তমানে অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের ৫টা রাজ্যে ২৩ টা স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (Skill Development Centre)-এ 'ইইউপি' কার্যক্রম চলছে।

'বন্ধন ব্যাঙ্ক'-এর বক্তব্য অনুযায়ী, "২০১৩ সালে শুরু করে আজ পর্যন্ত ৪৩,৫০০-র বেশি ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে 'বন্ধন'-এর এই সামাজিক উন্নয়ন মূলক উদ্যোগ।এই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সফলভাবে চাকুরীক্ষেত্রে নিযুক্ত। 
প্রথাগত শিক্ষার পরবর্তী পর্যায়ে চাকুরীক্ষেত্রে সাফল্যের জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বন্ধনের এই কেন্দ্রগুলো। গ্রামীণ ও মফস্বলের উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ছাত্রছাত্রীরা এই জাতীয় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের চাকরির উপযুক্ত করে তোলার সুযোগ পায়।"

'ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন' অনুমোদিত বন্ধনের এই বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শাখাগুলোতে চাকরির জন্যে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ শেষে এখান থেকেই বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানির বিভিন্ন পদে এই ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় প্রতি বছর।

প্রশিক্ষণের জন্য কারা আবেদন করতে পারেন :-


'বন্ধন ব্যাঙ্ক'-এর ছত্রছায়ায় চলা 'বন্ধন কোন্নগর' পরিচালিত প্রত্যেক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে সমাজের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের নূন্যতম উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ নরনারীরা প্রশিক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারেন।
'বন্ধন' যেহেতু নারী সশক্তিকরণ (Women Empowering) -এর উপর বিশেষ ভাবে জোর দেয় তাই প্রতিটি কোর্সেই প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়েদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। 
কোনো কোনো ব্র্যান্ড এর নিয়োগকারীরা পুরুষদের সমসংখ্যক মহিলা কর্মী নিয়োগের নিয়মও মেনে চলেন।

প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে কারা শিক্ষাদান করেন :-

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ও ব্যবহারিক জীবনে অভিজ্ঞ ও যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন।

কী কী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় :-


প্রত্যেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেলস, ক্ষুদ্রঋণ, বিপিও, হসপিটালিটি, কম্পিউটার অ্যাকাউন্টিং, হার্ডওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, এসি ও ফ্রিজ রিপেয়ারিং সহ আরো নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

প্রশিক্ষণের মেয়াদ :- 

৩ মাস

'বন্ধন কোন্নগর'-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে, যখন ঘরে ঘরে রোজগারের মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের সক্ষম করে তোলাই সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনের একমাত্র পথ, সেখানে রাজ্যের বেশকিছু যোগ্য ছেলেমেয়েকে জীবিকার পথ দেখাচ্ছে বন্ধনের এই বৃত্তিমূলক কোর্সগুলি। আমরা চাইব, ভবিষ্যতে আরো বেশি সংখ্যক ছেলেমেয়েরা এই প্রশিক্ষণের সুযোগ নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক।"

Comments